" আজাদ হিন্দ ফ্রন্ট" এর জনকল্যাণ-মূলক নীতি
1। ধর্ষণ এবং যেকোনো ধরণের যৌণ নির্যাতনের একটি শাস্তিই নির্ধারিত হবে,,মৃত্যু।
2। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী সকল ভারতীয়কে বিনামূল্যে ন্যুনতম অন্ন,বস্ত্র ও বাসস্থান সুনিশ্চিৎ করবে রাষ্ট্র।এক্ষেত্রে যে বাড়তি রাষ্ট্রীয় অর্থ খরচ হবে,তার উৎস হিসাবে অতি উচ্চ আয় সম্পন্ন ভারতীয়দের রোজগারের ওপর আয়করের বৃদ্ধি করা হবে।
3। কৃষক তাঁর কৃষিজাত পণ্য সরাসরি বিক্রয় করবেন এবং কৃষক যাতে বাজারমূল্যের সমমূল্য প্রতিটি বিক্রয়জাত পণ্য থেকে পেতে পারেন,তা সুনিশ্চিৎ করবে রাষ্ট্র।রাষ্ট্রে কোনো অসাধু মধ্যস্বত্বভোগীর অস্তিত্ব থাকবে না।কৃষক যদি বহুজাতিক সংস্থার কাছে তাঁর কৃষিজাত পণ্য বিক্রয় করতে চান,তাহলে কৃষকের আর্থিক সুরক্ষার জন্য তাঁর অনুমতি নিয়ে রাষ্ট্র মধ্যস্থতা করবে।
4। রাষ্ট্র ভারী,মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসারে অগ্রণী হবে।বহুজাতিক বেসরকারি সংস্থা শিল্পে লগ্নি করতেই পারে।কিন্তু মেহনতি,শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ যাতে কোনোভাবেই ক্ষুন্ন না হয়,সেই বিষয়টি সুনিশ্চিৎ করবে রাষ্ট্র।বেসরকারি বহুজাতিক শিল্প সংস্থার ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ থাকবে।বহুফসলি কৃষিজমি কৃষকের থেকে বলপূর্বক অধিগ্রহণ করে কোনোভাবেই শিল্প স্থাপন করবে না রাষ্ট্র।কৃষকের স্বার্থই এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।
5।ক। শিক্ষাব্যবস্থার আমূল রূপান্তর সাধিত হবে।গান্ধী এবং তাঁর অনুগামী আপোসকামী নেতাদের স্তুতিমূলক পাঠ্যক্রম সম্পূর্ণ বাতিল করা হবে।নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু এবং ভারতবর্ষের প্রকৃত বিপ্লবী স্বাধীনতা সংগ্রামীবৃন্দের আন্দোলন বিস্তৃত পরিসরে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হবে।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ওপর প্রাতিষ্ঠানিক স্তরে গবেষণার সুযোগ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি তথা b.a,m.a,m.phil এবং ph.d করতে পারবেন যেকোনো পড়ুয়া।কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতাজীকেন্দ্রিক পৃথক বিভাগ সৃষ্টি হবে।
5।খ। ছাত্রছাত্রীদের বাস্তবোচিত স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সরকার শিক্ষক এবং অধ্যাপকবৃন্দকে private tuition এর অনুমতি দেবে।তবে শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো ইচ্ছাকৃত গাফিলতি হচ্ছে কিনা,সে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হবে সরকারী প্রতিনিধির surprise inspection এর দ্বারা।
5।গ। দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থিত ভারতবর্ষের প্রত্যেক মানুষকে m.a এবং সমমানের ডিগ্রি পর্যন্ত নিখরচায় রাষ্ট্র অধ্যয়ন করাবে।
5।ঘ।সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসাবে ph.d র গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে।
6।স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে থাকবে।দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানরত প্রত্যেক ভারতবাসীকে নিখরচায় উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করবে রাষ্ট্র।
চিকিৎসা পরিষেবাকে কখনোই চিকিৎসা-ব্যবসায় রূপান্তরিত হতে দেবে না রাষ্ট্র।
7। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়া আকাদেমী নির্মাণ করা হবে।শুধু ক্রিকেটই নয়,যেকোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ক্রীড়া ভারতবর্ষের উৎসাহী যুব প্রজন্ম আয়ত্ত করতে পারবেন।কারোর আর্থিক প্রতিবন্ধকতা থাকলে রাষ্ট্র নিখরচায় তাঁর ক্রীড়া শিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।
8। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রবর্তন করা হবে।
9। দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীবৃন্দকে আত্মরক্ষার জন্য বাধ্যতামূলক শারীরশিক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ভারতবাসীর জন্য ঐচ্ছিক শারীরশিক্ষার কেন্দ্র স্থাপন করবে রাষ্ট্র এবং এক্ষেত্রে উন্নতমানের শিক্ষা প্রদানের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষকবৃন্দ এবং অর্থ বরাদ্দ করা হবে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায়।
10। উচ্চশিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রে যেকোনো প্রকারের জাতিগত সংরক্ষণ বাতিল করা হবে।